1. binodontimes25@gmail.com : বিনোদন টাইমস : বিনোদন টাইমস
  2. info@www.binodontimes.online : বিনোদন টাইমস :
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন

ভাগ্যে বিশ্বাসী সাদিয়া

  • প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

হাতে গোনা মাত্র তিনটি ছবিতে অভিনয় করেছেন সাদিয়া খাতিব। বিধু বিনোদ চোপড়ার ‘শিকারা’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ের জগতে পা রেখেছিলেন তিনি। এরপর অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘রক্ষা বন্ধন’ ছবিতে দেখা গেছে। কিছুদিন আগেই বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে সাদিয়া অভিনীত ছবি ‘ডিপ্লোম্যাট’। এই ছবির মূল চরিত্রে আছেন জন আব্রাহাম। ‘ডিপ্লোম্যাট’ সিনেমায় সাদিয়া অভিনয় দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া।
অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা বা পরিকল্পনা তাঁর ছিল না। সম্প্রতি প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদিয়া বললেন, ‘ছেলেবেলায় অনেকেই বলতেন যে আমার মধ্যে অভিনেত্রী হওয়ার সব রসদ আছে। স্কুলে সব অনুষ্ঠানেই আমি পারফর্ম করতাম। ঘটনাক্রমে আমি অভিনয়ের জগতে আসি। বলতে পারেন, ভাগ্যের খেলা। “শিকারা” ছবির সূত্রে জম্মু থেকে মুম্বাইতে আসি। তখন জম্মুতে আমি কলেজে পড়তাম। এই ছবির আগে আমি খুব একটা সিনেমা দেখতাম না।’ জম্মু ছেড়ে মুম্বাইয়ের মতো ব্যস্ত শহরে নিজেকে মানানো কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল? মাথা নেড়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ জীবনের অংশ। রোজকার জীবনে আমাদের সহজ-কঠিন সব ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। শিকারা ছবিতে কাজ করার সময় বাইরের জীবন সম্পর্কে সেভাবে ধারণা ছিল না। এই ছবির পর শুরু হয় আমার আসল সংগ্রাম। তবে আমি যা কিছু পেয়েছি, তা মুম্বাইতে এসে।

‘ডিপ্লোম্যাট’-এর সফলতায় দারুণ খুশি সাদিয়া। ‘আমরা আমাদের পরিশ্রমের ফল পেয়েছি। তবে এত প্রশংসা শুনে কখনো কখনো অবিশ্বাস্য বলে মনে হচ্ছে।’ সত্য ঘটনার আধারে নির্মিত এই ছবিতে সাদিয়াকে উজমা আহমেদ নামের এক বাস্তব চরিত্রে দেখা গেছে।

এই ছবির প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘ছবিটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। বিশেষ করে সহিংসতার দৃশ্যগুলো আমাকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করেছে। এই দৃশ্যগুলোতে অভিনয় করা মানসিক দিক থেকে আমার জন্য বেশ কঠিন ছিল। তবে এমন এক ছবির অংশ হতে পেরে ওপরওয়ালার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’ ভাগ্যে বিশ্বাসী সাদিয়া বলেন, ‘আমার ভাগ্য আজ আমায় এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। আমি শুধু স্রোতে গা ভাসিয়ে জীবনের পথ ধরে এগিয়ে চলেছি। এই ভ্রমণে আমার নিজের কোনো অবদান নেই। জীবনের ছোট-বড় সবকিছুর জন্য আমি আল্লাহ আর আমার পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ। নিজেকে সত্যি ভাগ্যবান মনে করি।

চার বছরে মাত্র তিন সিনেমা, চিত্রনাট্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে কী একটু খুঁতখুঁতে? পাহাড়ি কন্যা হেসে বলেন, ‘ঠিকই বলেছেন। আমি ভালো চিত্রনাট্যের অপেক্ষায় থাকি। অপেক্ষা করেছিলাম বলে “ডিপ্লোম্যাট”–এর মতো ছবিতে সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি এমন ছবিতে কাজ করি, যা আমার মন টানে।

বলিউডের মতো ইন্ডাস্ট্রিতে তারকাদের ‘গডফাদার’ থাকা জরুরি বলে অনেকে মনে করেন। তবে সাদিয়া তা মানতে নারাজ, ‘আপনার সঙ্গে আপনার স্রষ্টা থাকলেই যথেষ্ট। আর পরিবার, বন্ধুবান্ধব পাশে থাকলেই হলো। আপনার ভাগ্যে তারকা হওয়া যদি না লেখা থাকে, তাহলে বড় বড় পরিচালক বা প্রযোজক সব শক্তি দিয়েও তা পারবেন না।

আড্ডার শেষ দিকে উঠে আসে বলিউড সুপারস্টার জন আব্রাহামের কথা। সাদিয়া জানান যে জন তাঁর ছেলেবেলার ক্রাশ। ‘প্রথম যখন জন আব্রাহামকে দেখি, তখন ফ্যানের মতো আচরণ করেছিলাম। কিন্তু “ডিপ্লোম্যাট” ছবির সেটে আমি জনের জায়গায় জে পি সিংকে (জন অভিনীত চরিত্র) দেখেছিলাম। একজন নবাগতর মতো আজও উনি কাজের প্রতি উৎসাহী। পর্দায় তাঁকে দেখলে কঠিন মনে হয়, আসলে উনি খুবই নরম হৃদয়ের মানুষ। ওনার কোনো দৃশ্য না থাকলেও উনি আমাদের সবাইকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য সেটে হাজির থাকতেন। জন আব্রাহামের নিয়মানুবর্তিতার কথা শুনে বড় হয়েছি। এবার নিজের চোখে তা দেখলাম,’ বললেন সাদিয়া।

খবর: প্রথম-আলো অনলাইন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট